পোল্ট্রি রিয়ারিং অ্যান্ড ফার্মিং-১

৩.১.২.৫ প্রোটোজোয়া দ্বারা সৃষ্ট রোগ

এসএসসি(ভোকেশনাল) - পোল্ট্রি রিয়ারিং অ্যান্ড ফার্মিং-১ - দ্বিতীয় পত্র (দশম শ্রেণি) | NCTB BOOK

৩.১.২.৫ প্রোটোজোয়া দ্বারা সৃষ্ট রোগ : 

(ক) রক্ত আমাশয় (Cocellosis)

ককসিডিয়া নামক প্রোটোজোয়া দ্বারা সৃষ্ট রোগসমূহকে ককসিডিওসিস বলে। অল্প বয়সের মুরগি বিশেষ করে ৪-৮ সপ্তাহের মুরগি এ রোগে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়। তবে বেশি বয়সী মুরগিতেও কখনও কখনও এ রোগ দেখা দেয়। আমাদের দেশে আইমেরিয়া ট্রেনেলা ও আইমেরিয়া নেকাট্রিক্স নামে ২টি জীবাণু দ্বারা রক্ত আমাশয় হয়। মুরগির বাচ্চার মড়কের কারণগুলোর মধ্যে এই রোগ অন্যতম ।

রোগের লক্ষণ:

  • হঠাৎ করে খাদ্য ও পানি গ্রহণে অনীহা দেখাবে। 
  • পালক উসকো খুসকো হবে।
  • রক্ত মিশ্রিত চুনা পায়খানা করবে ও মলদ্বারের পালকগুলো পায়খানায় ভিজা থাকে। 
  • ৰাচ্চা চোখ বুজে এক জায়গার চুপ করে বসে থাকে।
  • শরীরে কাঁপুনি হয়। 
  • ঠোঁট,পা,খুঁটি ও পলার ফুল ফ্যাকাশে হয়ে যায় ।

পোস্টমর্টেম লক্ষণ: 

আক্রান্ত মুরগিতে রক্তমিশ্রিত বিষ্ঠা থাকে। অস্ত্রের আক্রান্ত স্থানে ক্ষত চিহ্ন দেখা যায় ও অন্ত্রের দেয়ালের বাইরে থেকে রক্ত আবরণের চিহ্ন দেখা যায়। সিকামে রক্ত মিশ্রিত তরল বিষ্ঠা থাকবে।

প্রতিরোধ:

  • স্বাস্থ্যসম্মত লিটার ও পরিবেশ বজায় রাখতে হবে। 
  • মুরগির ঘরে পর্যাপ্ত আলো বাতাসের ব্যবস্থা করতে হবে। 
  • বাড়ন্ত মুরগির সাথে বাচ্চা মুরগি রাখা যাবে না । 
  • পানির পাত্রের নিচের ও চারিপার্শ্বের লিটার প্রতিদিন উল্টে পাল্টে দিতে হবে। 
  • বাচ্চা মুরগির ঘরে কাজ করার পর বড় মুরগির ঘরে কাজ করতে হবে।
  • বিধি মোতাবেক ঘর পরিষ্কার ও লিটার পরিবর্তন করে নতুন ব্যাচে বাচ্চা তুলতে হবে। 
  • লিটার সব সময় শুষ্ক রাখতে হবে। ১০০ বর্গফুট জায়গায় ৫-৭ কেজি চুন ছিটিয়ে মিশিয়ে দিয়ে লিটার ওলট পালট করে দিলে লিটার শুষ্ক থাকবে। ফলে ককসিডিয়ার জীবাণুসহ অন্যান্য জীবাণু মারা যাবে।
  • প্ৰতি ১০০ কেজি খাদ্যে ৫০ গ্রাম বাজারে প্রাপ্ত ককসিডিওস্ট্যাট মিশিয়ে খাদ্যে ব্যবহার করতে হয়। 
  • জৈব নিরাপত্তা কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে। 
  • টিকা ব্যবহার করে ও বাচ্চার ককসিডিওসিস নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

চিকিৎসা 

ইএসবি৩ (৩০%) প্রতি লিটার পানিতে ১.৫-২ গ্রাম প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে ৩-৫ দিন পান করাতে হবে। 

যদি রোগ মুক্ত না হয় তবে ২দিন পর আবার ইএসবি৩ (৩০%) প্রতি লিটার পানিতে ১.৫-২ গ্রাম প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে ৩ দিন পান করাতে হবে।

এমবাজিন পাউডার ১.৫-২.০ গ্রাম প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে ৩-৫ দিন পান করাতে হবে।

 

 

 

Content added By
Promotion